আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কোন ব্যবসা করার জন্য কিংবা আপনি চিন্তাভাবনা করতেছেন ব্যবসা বাণিজ্য করে আপনার বেকারত্বের অভিশাপ শেষ হোক অথবা আপনি একজন স্টুডেন্ট হিসাবে চান যে ব্যবসা বাণিজ্য কিছু একটা করে আপনার আয় রোজগার হোক পড়ালেখার পাশাপাশি। ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে চমৎকারভাবে এই লেখাটা হয়েছে।
আপনি যখন ধরে নিলেন আপনি ব্যবসা শুরু করবেন, যেহেতু ব্যবসা করতে মূলধনের প্রয়োজন পড়ে। মূলধন ব্যতীত ব্যবসা করা সম্ভব নয়। আপনার হাতে টাকা পয়সা অথবা ব্যবসায় মূলধন ব্যবহার করার মতো তেমন আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। সেহেতু আপনাকে ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা বাদ দিতে হচ্ছে আপাতত মাথা থেকে।
তবে একটু থামুন, আপনার জন্য দারুণ কিছু উপকারী ব্যবসায়িক বুদ্ধি এবং উপায় নিয়ে ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া শিরোনামে লেখাটা বিস্তারিত ভাবে সাজিয়েছি। এই পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়লে আপনার উপকার হবে এবং ব্যবসা করার জন্য বাস্তব, কার্যকরী, উপকারী কিছু তথ্য জানতে পারবেন।
ব্যবসায় মূলধন হচ্ছে সবকিছুর উর্দ্ধে, মূলধনবিহীন ব্যবসা হয় না। যেহেতু আপনার খুব বেশি মূলধন নেই অথবা আপনার স্টুডেন্ট হিসাবে আপনার তেমন টাকা পয়সা নেই ব্যবসায় শুরু করে মুনাফা অর্জন করতে। সেহেতু আপনি চাইলে আমার দেয়া ১০হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া থেকে আপনার যে ব্যবসাটা ভালো লাগে সে ব্যবসা নিয়ে মাঠে নামতে পারেন।
তবে জেনে রাখা ভালো যে, কোন ব্যবসায়ে আপনার আগ্রহ বেশি, ভালো লাগা কোন ব্যবসায়ে বেশি কাজ করে, কিংবা কোন বিষয়ে আপনি দক্ষ সেই বিষয়গুলো মাথা রেখে ব্যবসা নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও, আপনার বিশেষ কোন সাপোর্ট যদি পাওয়ার আছে বা সম্ভাবনা থাকে সেটাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
যেমন ধরুন, গ্রাম আর শহর এই দুইয়ের মধ্যে অনেক প্রার্থক্য বিদ্যমান আছে। যেহেতু দুই জায়গার পরিবেশ, আবহাওয়া, সুযোগ সুবিধা আলাদা এবং ভিন্ন। শহরে যেমন শিল্পকারখানা বেশি সুতরাং এসব এলাকায় শিল্পকারখানার উপর ভিত্তি করে অনেক ধরণের ব্যবসা করা যায়। অন্যদিকে গ্রামে কৃষিজাত, কৃষিপণ্য বেশি উৎপাদন করা হয়। এছাড়া, নানা রকম গবাদিপশুসহ হাঁস মুরগির উৎপাদন করা হয় গ্রামে।
জেনে নিন ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া
ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে শ্রম দিতে হবে শুরু থেকে, যাতে করে ব্যবসাকে একটা রোল মডেল নিয়ে যেতে পারেন। আপনার পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা, শ্রম, দক্ষতা এবং আন্তরিকতা আপনার ব্যবসায়ে সাফল্যে নিয়ে আসবে। নিজের সৃজনশীল, দূরদর্শী চিন্তাভাবনা, উদ্ভাবনী, অধ্যাবসায় এবং সময় উপযোগী কৌশল ব্যবহার করে আপনার ব্যবসাকে লাভজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন। এজন্যে আপনাকে র্ধৈযের পরিক্ষা দিতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নিয়ে যাক কিভাবে মাত্র ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া সর্ম্পকে।
১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা করে আজ থেকে বেকার জীবনকে বিদায় বলুন
১. অনলাইনে শিক্ষাদান করে আয় করা: পৃথিবীতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে রুমে প্রচলিত নিয়মে পাঠ্যদান ব্যবস্থার চিত্রকে পাল্টে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। যার কারণে করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক কদর বেড়েছে পাশাপাশি অনলাইনে পাঠদানের আগ্রহ বেড়েছে শিক্ষকদের মাঝে।
করোনার দুঃসময়ে ছাত্রছাত্রীরা তাদের একাডেমিক শিক্ষা অর্জনসহ আরো জ্ঞান আহরণের উদ্দেশ্যে অনলাইন শিক্ষকের এবং ইউটিউবের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। করোনার কারণে যারা বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করতে পারেনি, তারাই অনলাইনে ক্লাস করিয়ে নিজেদের শিক্ষাদান চালিয়ে গিয়েছেন।
যারা আগে থেকে টিউশনি করতেন, করোনার কারণে ছেড়ে দিয়েছেন তারা চাইলে অনলাইনে শিক্ষকতা করে আয় রোজগার করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইন শিক্ষার অনেক গুরুত্ব এবং কদর বেড়েছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ২০২৬ সালে ভারতে অনলাইন শিক্ষাক্ষেত্রের বাজারে প্রায় ৬০০ কোটির বেশি যাবে।
অনলাইন শিক্ষাদানের গুরুত্ব শুধু পাশের দেশ ভারতে নয় বাংলাদেশেও গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণ। আজ বাংলাদেশে জনপ্রিয় এক পেশার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনলাইনে শিক্ষকতা করে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয় শিখানো। অনলাইনে ভিড়িও রেকর্ড করে, ভয়েজের মাধ্যমে কিংবা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করে, আরো চমৎকার উপায়ে গ্রহণ করে ছাত্রছাত্রীদেরকে শিক্ষাদান করা হয়।
এতে করে ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ভালো ইনকাম তৈরি করা যায়। তাছাড়া, মাসিক ভিত্তিতে বা এককালিন পেমেন্ট এর বিনিময়ে সাবসক্রিপশন চালু করে ইনকাম করা যায়, যেটা প্রচলিত নিয়মে মাসিক বেতন উঠানোর মতো হয়। এছাড়া, প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ অথবা লাইভ সাপোর্ট দিয়েও পেমেন্ট পাওয়া যায় স্টুডেন্টদের থেকে।
আবার, আপনার অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্রোমোশন করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আপনার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কোনকিছু কেনাকাটা করলে আপনি নির্দিষ্ট অংকের কমিশন পেতে পারেন। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশীপ পেয়ে ইনকামের পথকে প্রসারিত করতে পারেন।
আপনি যদি ১০হাজার টাকা বা তার আশেপাশে মূলধন কাটিয়ে অনলাইনে টিচিং করেও আয় করতে পারবেন। এখানে তেমন একটা খরচ নেই তবে আপনাকে প্রযুক্তি নিয়ে জানাশোনা রাখতে হবে এবং ব্যবহার ভালো করে জানতে হবে। আপনি যদি শিখাতে পছন্দ করে থাকেন, অবশ্যই আপনার উচিত এই পেশায় যুক্ত হওয়া। ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া পোস্টে আমার পছন্দের একটা পেশার নাম তুলে ধরেছি।
২. অনলাইনে সাহিত্যপ্রেমীদের জন্যে এবং পাঠ্যপুস্তক বিক্রি: ইন্টারনেটের দুনিয়া যতবড় হচ্ছে, তত বেশি কাজের সুযোগ সুবিধা মিলছে এখানে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে আজকাল প্রায় লোকজন ইন্টারনেট থেকে আয় করতে চাই। আপনার চিন্তা ভাবনা এমন হলে আপনি পারবেন অনলাইন থেকে ইনকাম করতে।
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা বাংলা সাহিত্যপ্রেমী, অনেকে আবার বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, সাহিত্য এবং অন্যান্য বই বাংলা ভাষার উপর পড়ে থাকেন। এই জাতীয় বইপ্রেমীদের নেশাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইনে-অফলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। এছাড়া, বিভিন্ন পুরাতন এবং দুষ্প্রাপ্য বই বিক্রি করতে পারেন।
যারা সাহিত্যপ্রেমী এবং বই পড়ার পোঁকা তাদের জন্য এই ধরণের বইগুলো হল জীবনদায়ক জিনিস। স্কুল কলেজের পাশে খুব সহজেই এসব বইয়ের সংগ্রহশালা বানাতে পারেন। আমাদের হাতের তৈরি করা তালিকায় বই বিক্রির ব্যবসার আইডিয়াকে দুই নাম্বারে রেখেছি। সাহিত্য, নাট্য, উপন্যাস, কবিতা গল্পের বই এর পাশাপাশি স্কুল কলেজের পাঠ্যবই বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে আপনার ভালো রকমের রোজগারের পথ তৈরি হবে। আপনার জন্যে ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে বই বিক্রি করা অন্যতম অন্যতম ব্যবসা।

৩. হোমমেড খাবার তৈরি এবং ডেলিভারি: বর্তমান যুগের কর্মব্যস্ততার কারণে আজকাল শহরের লোকজনের পাশাপাশি সদরে বসবাসরত চাকুরিজীবি মানুষজন রান্নাবান্না এবং অফিসে টিফিন নিয়ে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। একে তো সকাল সকাল রান্নাবান্না করে আবার সাথে টিফিন বহন করে অফিস যাওয়াকে ঝামেলা এবং বিরক্তিকর কাজ মনে করেন। তাছাড়া, বাহিরের খাবার স্বাদ বিভিন্ন রকমের স্বাদ এবং মজার হলেও মান অতটা ভাল হয় না ঘরের রান্না করা খাবারের তুলনায়, স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী নয়।
যেহেতু কর্মজীবী মানুষের জন্যে রান্নার কাজটা বিশাল সমস্যার নাম আপনি চাইলে আপনার জ্ঞান, বুদ্ধি এবং মগজকে খাটিয়ে কর্মজীবী মানুষের জন্য রান্নাবান্না করে আয় করতে পারেন। আপনার বাসাবাড়িতে অথবা অন্য কোথায় জায়গা ভাড়া করে রান্না করার যাবতীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে কিচেন বানিয়ে আপনার রান্না করা খাবার গুণগত মান ঠিক রেখে প্যাকিং করে অফিসে বা তাদের কর্মস্থলে পার্সেল করে পাঠাতে পারেন।
এতে করে আপনার ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি হবে, অন্যদিকে আপনার গ্রাহকেরা সময়মতো, ঘরের তৈরি রান্না করা খাবার খেতে পারবে মনভরে। এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার দক্ষতা দিয়ে পাকা রাধুঁনি হয়ে দায়িত্বশীল পরিচয় দিয়ে ঠিকসময়ে খাবার পাঠাতে হবে। ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া এর পোস্ট থেকে জেনে নিলেন কিভাবে স্বল্প টাকায় ব্যবসা করা যায়। এভাবে করে আপনার আয় রোজগারের একটা পথ খুলবে এবং রান্নার জন্য প্রসংশা পাবেন সবার থেকে।
৪. মৌসুমি ফলের জুস ব্যবসা: জ্যৈষ্ঠ মাস মানেই মধুর মাস, এই মাসে হরেক রকমের নানান দেশী জাতের মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। চারদিকে যেমন মৌসুমি ফল খাওয়ার জন্যে হিড়িক পড়ে, তেমনি ফলের জুস খাওয়ার জন্যে চাহিদা বেড়ে যায়। দুপুরের তীব্র গরম থেকেই স্বস্তি পেতে অনেকে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বা স্থায়ী দোকান খুঁজেন। বিভিন্ন অফিস পাড়া, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মৌসুমি ফল দিয়ে জুসের দোকান দিয়ে আপনি আয় করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া পোস্টের সবচেয়ে সহজলভ্য এবং চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা হচ্ছে মৈাসুমি ফলের জুস ব্যবসা।
এই ব্যবসায় তেমন বিনিয়োগ লাগে না শুরু করতে। আপনাকে ভাল ফলগুলো সংগ্রহ করে, জুস বানানোর মেশিন ব্যবহার করে খুব সহজেই জুস বানাতে পারবেন। এই ব্যবসাটা স্বল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারেন। গ্রাহকদের ন্যায্যে মূ্ল্যের বিনিমিয়ে সু-স্বাদু জুস বানিয়ে ভাল ইনকাম করতে পারেন।
৫. অনলাইন বেকারী: অনলাইন বেকারি হতে পারে আপনার স্বল্প পুঁজির একটা ব্যবসা। আমরা অনেকে বেকারি জাতীয় পণ্য বানাতে পছন্দ করি যেমন বিভিন্ন ফুড, নাস্তা, কেক, স্যান্ডুইচ এবং অন্যান্য মজাদার স্নেক। আপনার পছন্দের এসব খাবারের আইটেমগুলি ঘরে বানিয়ে বিক্রি করতে পারবেন আপনার এলাকাসহ জেলা/সদর/পৌরসভা এমন জায়গাতে। কারণ, এসব খাবার খেতে যেমন মুখরোচক হয় এবং সবাই পছন্দ করে এর স্বাদ নিতে।
নিজের ঘরের কিচেনে তৈরি করে এসব বেকারী বিক্রি করতে পারবেন খুব সহজেই। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে নিজের পণ্যের মান, পণ্য বানানোর উদ্দ্যেশে, উপকারী সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের তথ্য জানিয়ে প্রচারণা করে পেতে পারেন অসংখ্য গ্রাহক। ঘরে তৈরি করে সেসব পণ্য হোম ডেলিভারি সার্ভিসের লোক দিয়ে গ্রাহকের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবেন।
একবার আপনার বেকারি আইটেমের নাম চারদিকে ছড়িয়ে গেলে আপনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না গ্রাহকের জন্যে। গ্রাহকেরা নিজেরা আপনার পণ্যের মার্কেটিং করে আপনাকে গ্রাহক খুঁজে দিবে। ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া এর তালকিায় অন্যতম হচ্ছে বেকারী পণ্যের ব্যবসা। আপনার যদি ইচ্ছা এবং সুযোগ থাকে তাহলে বেকারি পণ্য উৎপাদন করার মতো স্মার্ট পেশায় নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।

৬. ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা: ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা হচ্ছে বর্তমানে একটা স্মার্ট আয়ের অন্যতম উৎস। আপনি স্মার্টভাবে পরিচালনা করতে পারলে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন।
ট্রাভেল এজেন্সি হচ্ছে সরকারী বা বেসরকারি পরিচালিত সেবার নাম, যারা বিভিন্ন ধরণের ভ্রমণের জন্য গ্রাহকদের কাছে ট্রিপ প্যাকেজ প্রদান করে আয় করে। ট্রাভেল এজেন্সির সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিটি গন্তব্যের জন্যে ভ্রমণ এবং পর্যটনশিল্প সর্ম্পকিত নানা রকম সেবা প্রদান করে গ্রাহকের কাছে।
তাদের সেবার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে বহিরঙ্গন বিনোদন কর্মকান্ড, ফ্লাইট বুকিং, বিভিন্ন মেয়াদি ট্যুর ভিসার প্রসেসিং, প্যাকেজ অনুযায়ী হোটেল বরাদ্দকরণ, খাবারের ব্যবস্থা করা, বাসস্থান, স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন রকমের সেবা প্রদান, বিশেষ দিনের কোন ইভেন্ট আয়োজন করা, বিভিন্ন রুটের পাবলিক ট্রান্সপোর্টসহ পুরো ট্যুর বা ট্রিপের যাবতীয় সবকিছু ম্যানেজমেন্ট করাকে বুঝায়। আপনার প্যাকেজ বা স্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের ভ্রমণ বিষয়ক সাপোর্ট অর্ন্তভূক্ত। বর্তমানে এই ধরণের ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তরুণদের কাছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি চাইলে এই ধরণের ব্যবসা করে টাকা আয় করতে পারবেন কোন রকম ঝুঁকি ছাড়াই। যারা মাত্র ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া বা উপায় নিয়ে অনলাইনে বা অফলাইনে বা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর রাখেন তাদের বলছি ট্রাভেল এজেন্সির মতো আধুনিক ব্যবসা কমই আছে, যেখানে ঝুকিঁ নেই বলে চলে।
৭. নাচ, গান বা আঁকার স্কুল: ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে প্রকাশিত এই আর্টিকেলে তালিকার সর্বশেষ স্থান নিয়েছে নাচ, গান, আঁকা এবং কবিতা আবৃত্তির স্কুৃল খোলার বিষয়ে। আমরা অনেকে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি এবং বিভিন্ন ধরণের আঁকাআঁকিতে পারদর্শী। আমরা চাইলে সে বিষয়গুলো নিয়ে স্কুৃল খুলতে পারি।
নিজেদের ঘরে বা কারো ছাদ ভাড়া অথবা কারো রুম ভাড়া করে এই রকম শিক্ষামূলক কাজ করে আয় করতে পারেন। এই কাজটা যেমন সহজে শুরু করা যায় তবে ব্যবসাকে ভালো পর্যায়ে নিতে গেলে ধরতে হবে অসীম ধৈর্য, পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা রাখতে হবে। যেহেতু লোকমুখে প্রচারের উপরের নির্ভর করে ব্যবসাটা প্রসার হয়। একবার লোকমুখে আপনার সুনাম ছড়িয়ে গেলে চারপাশে স্টুডেন্ট নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হবে না। অল্পপুঁজির আয় জোরগারের কথা ভাবলে সবচেয়ে ভালো টপিক হতে পারে আপনার জন্য নাচ, গান, আবৃত্তি এবং আঁকাআঁকি।
১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা করুন বিষয়ক আর্টিকেলে চেষ্টা করেছি ভালোকিছু ব্যবসার আইডিয়া সর্ম্পকে ধারণা দিতে। উপরে উল্লিখিত ব্যবসাগুলোতে বিনিয়োগ বা শুরু করার আগে ভালো করে চিন্তাভাবনা করে এবং অভিজ্ঞ কারোর সাথে বুদ্ধি পরামর্শ করে শুরু করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। স্থান, পাত্র, কাল ভেদে সবজায়গায় উপরের দেয়া ৭টি ব্যবসা উপযুর্ক্ত নাও হতে পারে।
আপনার বিবেক বুদ্ধি কাটিয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা গেল। আপনার পরিশ্রমী মনোভাব, সৃজনশীল চিন্তাভাবনার শক্তি, সাফল্যে লাভের ক্ষুদা আপনাকে সফলতার শেষ স্তরে নিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। আমাদের ওয়েবসাইটে ব্যবসা সর্ম্পকিত আরো নানান ধরণের আর্টিকেল পেতে নিয়মতি ভিজিট করুন। আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্বীয়-স্বজনদের কাছে আর্টিকেলটি শেয়ার করে পারেন। আজকের মতো এখানে শেষ করছি, পরবর্তী কোন আর্টিকেলে আবারো লেখা হবে আরো ১০ হাজার টাকায় ৭টি ব্যবসার আইডিয়া এবং উপায় নিয়ে। এছাড়া, আপনারা ব্যবসা বিষয়ক প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি পড়তে পারেন। নিরাপদে এবং সুস্থ থাকবেন, আপনার কোন পরামর্শ বা মন্তব্য জানান আমাদের কাছে এই লিংঙ্কে গিয়ে।